এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং
স্ট্রোক
“বুড়ো হয়ে যাওয়া একটা
রোগ। মানুষের আয়ু নির্ভর করে কোষের ভেতর জমা হতে থাকা ফ্রি-রেডিক্যাল (উচ্চ শক্তিসম্পন্ন
মুক্ত পরমাণু বা পরমাণুর গ্রুপ ) কোষের কি পরিমাণ ক্ষতিসাধন করে তার উপর। যখন অনেক
বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়, কোষ তখন ঠিকভাবে বাঁচতে পারে না- হাল ছেড়ে দেয়”
- প্রখ্যাত
বায়োকেমিস্ট আর্ল স্ট্যাডম্যান (Earl Stadtman), যিনি বিজ্ঞানে আমেরিকার সর্বোচ্চ পদক
‘ন্যাশনাল মেডাল অফ সায়েন্স’ পেয়েছেন, ঠিক এমনটাই বলেছেন [২৮]।
বার্ধক্যকে যদিও অনেকে
এখনো রোগ হিসেবে নিতে দ্বিধায় আছে [২৯], তা সত্ত্বেও আগামী দিনগুলোতে বার্ধক্যকে রোগ
হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী যেন এটাকে ঠেকানো যায় এই মতাদর্শের বিজ্ঞানীদের পরিমাণ
দিন দিন বেড়েই চলেছে [৩০]।
১৯৭২ সালে প্রথম প্রস্তাবিত
[৩১] যা বর্তমানে “মাইটোকন্ডিয়াল থিওরী অব এজিং” (Mitochondrial Theory of aging)
(অর্থাৎ যে তত্ত্বে মাইটোকন্ড্রিয়ার সাথে বার্ধক্যের সম্পর্কের কথা বলা হয়) নামে পরিচিত,
সেটা অনুযায়ী কোষের শক্তিঘর হিসেবে পরিচিত মাইটোকন্ড্রিয়াতে শক্তি উৎপাদনের সময় যে
সব ফ্রি-রেডিক্যাল তৈরি হয় সেগুলোর পরিমাণ সময়ের সাথে বাড়তে থাকে এবং তারা অন্যান্য
বড় অণু যেমন লিপিড, প্রোটিন, ডিএনএ ইত্যাদির ক্ষতি করে। এই ক্ষয়ক্ষতিগুলো পরবর্তীতে
বার্ধক্যের সৃষ্টি করে। তত্ত্বটি পুরোনো মনে হলেও ইদানিংকালে এটাকে আবার রিভিউ করা
হয়েছে যা এই তত্ত্বকে সঠিক হিসেবেই গণ্য করছে [৩২], [৩৩]।
প্রশ্ন জাগতে পারে
“এই ফ্রি-রেডিক্যাল মূলত কী, আর আমরা এদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিতে পারি?”
ফ্রি রেডিক্যাল হল সেসব
পরমাণু, অণু অথবা আয়ন যাদের এমন একটি যোজনী ইলেকট্রন আছে যা কিনা জোড়া গঠন করেনি অর্থাৎ একা আছে [৩৪]।
একা ইলেকট্রন থাকার ফলে ফ্রি রেডিক্যালরা রাসায়নিকভাবে খুবই সক্রিয় হয়। আমাদের শরীরে
বিভিন্নভাবে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি হতে পারে। যেমনঃ খাবার শরীরে প্রক্রিয়াজাত হবার সময়,
চাপের মাঝে থাকলে, ধূমপান-মদ্যপান করলে, এক্সারসাইজ করলে, কোনো কারণে দেহে প্রদাহ সৃষ্টি
হলে, ওষুধের প্রভাবে, সূর্যের আলোতে গেলে এবং বায়ু দূষণের মাঝে থাকলে [৩৫]। অনেক ধরণের
ফ্রি রেডিক্যাল আছে। তার মাঝে যেসব জীব অক্সিজেন গ্রহণ করে তাদের ভেতর অক্সিজেন আছে
এমন ফ্রি রেডিক্যাল অনেক বেশী উৎপন্ন হয় যাদের সাধারণভাবে Reactive Oxygen Species
(ROS) নামেও ডাকা হয়। এসব অক্সিজেনযুক্ত ফ্রি রেডিক্যালের মাঝে আছে সুপারঅক্সাইড, হাইড্রোক্সিল
আয়ন, পারঅক্সাইড ও একক অক্সিজেন পরমাণু [৩৬]।
আমাদের কোষের ভেতরে থাকা মাইটোকন্ড্রিয়াতে ATP (adenosine triphosphate) নামক যৌগ উৎপন্ন হয় যা কোষকে শক্তি সরবরাহ করে। ATP উৎপাদনের সময় ইলেকট্রন প্রয়োজন হয়। দেখা যায় ATP উৎপাদনের সময় ১-২% ইলেকট্রন মাইটোকন্ড্রিয়া থেকে বের হয়ে পানির সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন অক্সিজেনযুক্ত ফ্রি রেডিক্যাল (ROS) উৎপন্ন করে [৩৭],[৩৮]।
মাইটোকন্ডিয়াল থিওরী অব এজিং অনুযায়ী মাইটোকন্ড্রিয়াতে ATP উৎপাদনের সময় যেসব ফ্রি রেডিক্যাল উৎপন্ন হয় সেগুলো কোষের অন্যান্য বড় বড় অণু যেমন লিপিড, প্রোটিন ও ডিএনএ ইত্যাদির সাথে বিক্রিয়া করে এগুলোর ক্ষতি করে। এই ক্ষতির ফলেই আমাদের শরীর বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হয় [৩৯]।
যখন অক্সিজেনযুক্ত ফ্রি রেডিক্যালগুলো ডিএনএ-র সংস্পর্শে আসে, তখন তারা জিনের (gene) ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতিকে যদি ঠিকঠাক করা না হয় তাহলে সেটা আপনার ক্রোমোজোমের মিউটেশান (mutation) অর্থাৎ পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যান্সারের সৃষ্টিও করতে পারে [৪০]।
সৌভাগ্যের কথা হল এধরণের ঘটনাগুলো ঘটার সময় আমাদের শরীর তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ডাক দেয়, যাদের নাম হল ‘এন্টি-অক্সিডেন্ট’ (antioxidants)। এন্টি-অক্সিডেন্টরা ফ্রি রেডিক্যালের সাথে বিক্রিয়া করে তাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলে।
আমাদের কোষের ভেতরে থাকা মাইটোকন্ড্রিয়াতে ATP (adenosine triphosphate) নামক যৌগ উৎপন্ন হয় যা কোষকে শক্তি সরবরাহ করে। ATP উৎপাদনের সময় ইলেকট্রন প্রয়োজন হয়। দেখা যায় ATP উৎপাদনের সময় ১-২% ইলেকট্রন মাইটোকন্ড্রিয়া থেকে বের হয়ে পানির সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন অক্সিজেনযুক্ত ফ্রি রেডিক্যাল (ROS) উৎপন্ন করে [৩৭],[৩৮]।
মাইটোকন্ডিয়াল থিওরী অব এজিং অনুযায়ী মাইটোকন্ড্রিয়াতে ATP উৎপাদনের সময় যেসব ফ্রি রেডিক্যাল উৎপন্ন হয় সেগুলো কোষের অন্যান্য বড় বড় অণু যেমন লিপিড, প্রোটিন ও ডিএনএ ইত্যাদির সাথে বিক্রিয়া করে এগুলোর ক্ষতি করে। এই ক্ষতির ফলেই আমাদের শরীর বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হয় [৩৯]।
যখন অক্সিজেনযুক্ত ফ্রি রেডিক্যালগুলো ডিএনএ-র সংস্পর্শে আসে, তখন তারা জিনের (gene) ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতিকে যদি ঠিকঠাক করা না হয় তাহলে সেটা আপনার ক্রোমোজোমের মিউটেশান (mutation) অর্থাৎ পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যান্সারের সৃষ্টিও করতে পারে [৪০]।
সৌভাগ্যের কথা হল এধরণের ঘটনাগুলো ঘটার সময় আমাদের শরীর তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ডাক দেয়, যাদের নাম হল ‘এন্টি-অক্সিডেন্ট’ (antioxidants)। এন্টি-অক্সিডেন্টরা ফ্রি রেডিক্যালের সাথে বিক্রিয়া করে তাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলে।
যে পরিমাণ ফ্রি রেডিক্যাল
উৎপন্ন হচ্ছে সে পরিমাণ এন্টি-অক্সিডেন্ট যদি কোনো কোষে প্রয়োজন মোতাবেক না থাকে তাহলেই
ঘটে বিপত্তি। কোষ তখন বাড়তি ফ্রি রেডিক্যালের প্রভাবে চাপের মুখে পড়ে যায়। বৈজ্ঞানিক
পরিসরে এর নাম দেয়া হয়েছে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ (Oxidative stress)। এই তত্ত্ব অনুযায়ী
অক্সিডেটিভ স্ট্রেসে থাকলে কোষের যে ক্ষতি হয় তার ফলেই মানুষ বুড়িয়ে যায়।
হাতের পেছনদিকে যে বাদামী রঙের বয়সকালীন দাগ (age spot) তৈরি হয় তার কারণ কি জানেন? এগুলো তৈরি হয় চামড়ার নীচে থাকা চর্বির সাথে বিভিন্ন ফ্রি রেডিক্যালের বিক্রিয়ার মাধ্যমে [৪১]।
হাতের পেছনদিকে যে বাদামী রঙের বয়সকালীন দাগ (age spot) তৈরি হয় তার কারণ কি জানেন? এগুলো তৈরি হয় চামড়ার নীচে থাকা চর্বির সাথে বিভিন্ন ফ্রি রেডিক্যালের বিক্রিয়ার মাধ্যমে [৪১]।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে
দায়ী করা হয় আমাদের মুখে বলিরেখা (wrinkles) সৃষ্টির জন্য, আমাদের স্মৃতিশক্তি কমে
গিয়ে অনেক ঘটনা ভুলে যাওয়ার জন্য, বয়সের সাথে সাথে আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ
করা বন্ধ করে দেয়ার জন্য। মূলত, এই তত্ত্ব অনুযায়ী, যতই সময় যায় আমাদের শরীরে জং ধরে
যায়।
শরীরের এই বুড়িয়ে যাওয়ার গতিকে আপনি প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খেয়ে কমিয়ে দিতে পারেন। কোন খাবারটি এন্টি-অক্সিডেন্টে ঠাসা সেটা খুব সহজেই বোঝা যায়। খাবারটি ধরা যাক কোনো ফল। সেটাকে কেটে বাতাসে উন্মুক্ত অবস্থায় রেখে দিন আর দেখুন কি হয়। যদি এটা বাদামী বা লালচে বা কালচে রঙ ধারণ করে তাহলে বোঝা যাবে যে এটা বাতাসে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করছে বা অক্সিডাইজ হচ্ছে। দুইটা সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলের কথা ভাবুনঃ আপেল আর কলা। কাটা অবস্থায় বাতাসে রেখে দিলে এগুলো দ্রুত বাদামী রঙ ধারণ করে- এর মানে হল এগুলোতে খুব বেশী এন্টি-অক্সিডেন্ট নেই (আপেলের বেশীরভাগ এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে খোসায়)। অন্যদিকে একটা আম কেটে বাতাসে রাখলে কী দেখা যায়? অনেক সময়েও আমের রঙের খুব বেশী পরিবর্তন হয় না- তার কারণ আমে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ফলের সালাদকে বাদামী হওয়া থেকে ঠেকাতে কী করা হয়? সালাদে লেবুর রস মিশানো হয়, যেটাতে থাকে ভিটামিন-সি যেটা একটা এন্টি-অক্সিডেন্ট। এন্টি-অক্সিডেন্টরা যেমন আপনার খাবারকে অক্সিডাইজ হয়ে যাওয়া থেকে ঠেকায়, ঠিক তেমনি তারা শরীরের ভেতরও একই কাজ করে।
এন্টি-অক্সিডেন্টপূর্ণ খাবারদাবার যেসব রোগ ঠেকাতে পারে তার মাঝে একটা হল স্ট্রোক। সুইডেনের গবেষকরা ৩০ হাজারেরও বেশী বয়স্ক মহিলাকে প্রায় ১২ বছরের উপর লক্ষ্য রাখে এবং দেখে যে যারা সবচেয়ে বেশী এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খেয়েছে তাদের মাঝে স্ট্রোকের ঝুঁকি কম ছিল [৪২]। একই ধরণের ফলাফল পাওয়া গেছে ইতালীতে করা তরুণ বয়সী নারী ও পুরুষের উপর করা গবেষণাতেও [৪৩]। মজার কথা হল, আপনি যদি বুদ্ধি ফলিয়ে এন্টি-অক্সিডেন্টের সাপ্লিমেন্ট অর্থাৎ ওষুধ খান তাহলে কিন্তু কোনো লাভ হবে না [৪৪]। প্রকৃতি মায়ের ক্ষমতাকে এক্ষেত্রে ওষুধের মাঝে ঢোকানো যায় না।
এতসব কিছু জানার পর বিজ্ঞানীরা মাঠে নামেন সবচেয়ে বেশী এন্টি-অক্সিডেন্ট কোন কোন খাবারে আছে সেটা খুঁজে বের করতে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১৬ জন গবেষক তিন হাজারের উপরে বিভিন্ন খাবারের মাঝে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণের উপর একটা ডাটাবেস তৈরি করেন [৪৫]। তারা ডাবুরের চ্যাবনপ্রাস থেকে শুরু করে আফ্রিকার বাওবাব গাছের শুকনা গুঁড়ো করা পাতাকেও ডাটাবেসে রেখেছেন। তারা এমনকি ডজনখানেক বীয়ারের ব্র্যান্ডকেও পরীক্ষা করে দেখেন কাদের মাঝে বেশী এন্টি-অক্সিডেন্ট আছে সেটা জানতে। আপনি চাইলে এই লিস্ট দেখে আপনার পছন্দের খাবার আর পানীয় ঠিক কত তম স্থানে আছে সেটা বের করতে পারেন।
লিস্টটা এখানেঃ http://bit.ly/antioxidantfoods
১৩৮ পৃষ্ঠার এই লিস্ট যদিও আপনার ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখার কোনো দরকার নেই। একটা সহজ নিয়ম হলঃ গড়ে উদ্ভিদ জাতীয় খাবারে প্রাণীজ খাবারের তুলনায় ৬৪ গুণ বেশী এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
কিছু বেরী জাতীয় ফলে থাকে ১০০০ ইউনিটের চেয়েও বেশী এন্টি-অক্সিডেন্ট (ইউনিট = daμmol) । আইসবার্গ লেটুসের মাঝে আছে মাত্র ১৭ ইউনিট, যেটার ৯৬%-ই পানি [৪৬]। বেরীর কাছে আইসবার্গ লেটুসকে মনে হচ্ছে হতদরিদ্র তাই না? মুরগীতে কত? ৫ ইউনিট। তাজা স্যামন মাছে ৩ ইউনিট। ননীবিহীন দুধ বা সিদ্ধ ডিমে আছে মাত্র ৪ ইউনিট। আর সফট ড্রিংক স্প্রাইটে আছে একটা বিশাল বড় ঘোড়ার ডিম- ০ ইউনিট।
গবেষকরা সিদ্ধান্ত টানেন এভাবে- “এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারের উৎস হল উদ্ভিদ জগত, যেখানে প্রাণীজগত থেকে আসা মাংস, মাছ বা অন্যান্য খাবারে এন্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ কম থাকে। উদ্ভিদ থেকে আসা বিভিন্ন খাবার এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হবার কারণ হল সেগুলোতে হাজার হাজার জৈবিকভাবে সক্রিয় রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেগুলো অবিকৃত অবস্থায় খাবার ও পানীয়তে রয়ে যায়।” [৪৫]।
লিস্ট দেখে খাবার নিয়ে
বাছাবাছি না করলেও পারেন। মনে রাখার সহজ উপায় হল, প্রতিবেলার খাবারে বিভিন্নরকম ফল,
সবজি, তৃণজাতীয় উদ্ভিদ আর মসলা অন্তর্ভুক্ত করা।
এভাবেই আপনি আপনার শরীরকে অনবরত এন্টি-অক্সিডেন্ট দিয়ে পরিপূর্ণ করে রাখতে পারেন যা আপনাকে স্ট্রোক ও বার্ধক্যজনিত অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করবে।
এভাবেই আপনি আপনার শরীরকে অনবরত এন্টি-অক্সিডেন্ট দিয়ে পরিপূর্ণ করে রাখতে পারেন যা আপনাকে স্ট্রোক ও বার্ধক্যজনিত অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করবে।
সারমর্ম হল, এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার রক্তের মাধ্যমে অক্সিডাইজড চর্বির পরিবহণে বাধা দেয় যেগুলো কিনা মস্তিষ্কের ক্ষুদ্র রক্তনালীর দেয়ালকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। এভাবে করে এন্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার স্ট্রোক থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয় [৪৭]। শুধু তাই না, এরা আমাদের রক্তবাহী ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়াকে কমায় [৪৮], রক্তনালীর ভেতর রক্ত জমাট বাধাকে প্রতিহত করে [৪৯] এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায় [৫০]। ফ্রি রেডিক্যালরা আমাদের শরীরের প্রোটিনকে এমনভাবে পালটে দিতে পারে যে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেক সময় সেগুলোকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয় [৫১]। এর ফলে শরীরের ভেতর প্রদাহ শুরু হয়। এই প্রদাহকে প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি আমাদের শরীরকে এন্টি-অক্সিডেন্ট দিয়ে পরিপূর্ণ করে রাখা যায়।
যদিও সবধরণের উদ্ভিদ থেকে পাওয়া খাবারের শরীরের ভেতরে চলা প্রদাহকে বাধা দেয়ার সামর্থ্য আছে [৫২], তাও কিছু উদ্ভিদ অন্যদের তুলনায় ভাল। যেমন বেরী জাতীয় ফল ও সবুজ শাকে অনেক বেশী এন্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যেখানে আমাদের অধিক পরিচিত কলা কিংবা লেটুস পাতা এন্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে [৫৩]।
কি ধরণের খাবার আমরা বেছে নিচ্ছি সেটাই আমাদের একজনের সাথে আরেকজনের স্বাস্থ্যের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করে।
[২৮]Sansevero
TB. The Profit Machine. Madrid: Cultiva Libros. 2009;59.
[২৯]Gavrilov LA, Gavrilova NS. [Is aging a disease? Biodemographers' point of view.]. Adv Gerontol. 2017;30(6):841-842. PMID: 29608825; PMCID: PMC6057778.
[৩০] Opening the door to treating ageing as a disease, The Lancet Diabetes & Endocrinology, Editorial, Volume 6, ISSUE 8, P587, August 01, 2018
[৩১]Harman D. The biologic clock: the mitochondria? J Am Geriatr Soc.
1972;20(4):145–7.[২৯]Gavrilov LA, Gavrilova NS. [Is aging a disease? Biodemographers' point of view.]. Adv Gerontol. 2017;30(6):841-842. PMID: 29608825; PMCID: PMC6057778.
[৩০] Opening the door to treating ageing as a disease, The Lancet Diabetes & Endocrinology, Editorial, Volume 6, ISSUE 8, P587, August 01, 2018
[৩২]Wei, Yau-Huei & Ma, Yi-Shing & Lee, Hsin-Chen & Lee, Cheng-Feng & Lu, Ching-You. (2001). Mitochondrial theory of aging matures ─ Roles of mtDNA mutation and oxidative stress in human aging. Chinese medical journal. 64. 259-270.
[৩৩]Gustavo Barja, Comprehensive Invited Review , Updating the Mitochondrial Free Radical Theory of Aging: An Integrated View, Key Aspects, and Confounding Concepts, [৩৪]IUPAC Gold Book radical (free radical)
[৩৫]https://www.dermalinstitute.com/article/37/
[৩৬]Hayyan M, Hashim MA, AlNashef IM (March 2016). "Superoxide Ion: Generation and Chemical Implications". Chemical Reviews. 116 (5): 3029–85.
[৩৭]Chance B, Sies H, Boveris A. Hydroperoxide metabolism in mammalian organs. Physiol Rev. 1979;59(3):527–605.
[৩৮]Turrens JF (October 2003). "Mitochondrial formation of reactive oxygen species". The Journal of Physiology. 552 (Pt 2): 335–44.
[৩৯]Kowald; Kirkwood (2018). Resolving the Enigma of the Clonal Expansion of mtDNA Deletions. Genes (Basel). 9 (3): 126.
[৪০]Emerit I. Reactive oxygen species, chromosome mutation, and cancer: possible role of clastogenic factors in carcinogenesis. Free Radic Biol Med. 1994;16(1):99–109.
[৪১]Silva, Silas Arandas Monteiro E et al. “An overview about oxidation in clinical practice of skin aging.” Anais brasileiros de dermatologia vol. 92,3 (2017): 367-374.
[৪২] Rautiainen
S, Larsson S, Virtamo J, et al. Total antioxidant capacity of diet and risk of
stroke: a population-based prospective cohort of women. Stroke.
2012;43(2):335–40.
[৪৩]Del
Rio D, Agnoli C, Pellegrini N, et al. Total antioxidant capacity of the diet is
associated with lower risk of ischemic stroke in a large Italian cohort. J Nutr.
2011;141(1):118–23.
[৪৪]Hankey
GJ. Vitamin supplementation and stroke prevention. Stroke.
2012;43(10):2814–8.
[৪৫]Carlsen
MH, Halvorsen BL, Holte K, et al. The total antioxidant content of more than
3100 foods, beverages, spices, herbs and supplements used worldwide. Nutr J.
2010 Jan 22;9:3.
[৪৬]Bastin S, Henken K. Water Content of Fruits and Vegetables.
ENRI-129. University of Kentucky College of Agriculture Cooperative Extension
Service.
http://www2.ca.uky.edu/enri/pubs/enri129.pdf. December 1997. Accessed March 3, 2015.
[৪৭] Kelly PJ, Morrow JD, Ning M, et al. Oxidative stress and matrix metalloproteinase-9 in acute ischemic stroke: the Biomarker Evaluation for Antioxidant Therapies in Stroke (BEAT-Stroke) study. Stroke. 2008;39(1):100–4.
[৪৮] Lilamand M, Kelaiditi E, Guyonnet S, et al. Flavonoids and arterial stiffness: promising
[৪৭] Kelly PJ, Morrow JD, Ning M, et al. Oxidative stress and matrix metalloproteinase-9 in acute ischemic stroke: the Biomarker Evaluation for Antioxidant Therapies in Stroke (BEAT-Stroke) study. Stroke. 2008;39(1):100–4.
[৪৮] Lilamand M, Kelaiditi E, Guyonnet S, et al. Flavonoids and arterial stiffness: promising
perspectives.
Nutr
Metab Cardiovasc Dis. 2014;24(7):698–704.
[৪৯]Santhakumar AB, Bulmer AC, Singh I. A review of the mechanisms and effectiveness of dietary
[৪৯]Santhakumar AB, Bulmer AC, Singh I. A review of the mechanisms and effectiveness of dietary
polyphenols
in reducing oxidative stress and thrombotic risk. J Hum Nutr Diet.
2014;27(1):1–21.
[৫০]Stoclet JC, Chataigneau T, Ndiaye M, et al. Vascular protection by dietary polyphenols. Eur J
[৫০]Stoclet JC, Chataigneau T, Ndiaye M, et al. Vascular protection by dietary polyphenols. Eur J
Pharmacol.
2004;500(1–3):299–313.
[৫১]Moylan S, Berk M, Dean OM, et al. Oxidative & nitrosative stress in depression: why so much stress?. Neurosci Biobehav Rev. 2014;45:46–62.
[৫২]Watzl
B. Anti-inflammatory effects of plant-based foods and of their constituents. Int J Vitam Nutr Res.
2008;78(6):293–8.[৫১]Moylan S, Berk M, Dean OM, et al. Oxidative & nitrosative stress in depression: why so much stress?. Neurosci Biobehav Rev. 2014;45:46–62.
[৫৩]Franzini L, Ardigi D, Valtueña S, et al. Food selection based on high total antioxidant capacity improves endothelial function in a low cardiovascular risk population. Nutr Metab Cardiovasc Dis. 2012;22(1):50–7.